সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানির অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তার উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বসে নির্বাচন করবেন, কিন্তু ভোট থেকে সরবেন না।
নগরীর চাষাঢ়া মিশনপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।
তৈমূর বলেন, ‘নানা অজুহাতে কর্মী-সমর্থকদের আটক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ করে তৈমূর বলেন, ‘উনি আমাকে ঘুঘু দেখেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেন নাই- একথা বলার পর থেকে আমার লোকজনকে হায়রানি শুরু হয়েছে। আপনারা কি চান না নারায়ণগঞ্জের একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমি মনে করি এই নির্বাচন নিয়ে যদি ঘুঘুর ফাঁদ দেখানো হয়, তাহলে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’
‘আমি গভীরভাবে মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর নজরের বাইরে গিয়ে কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা অন্যভাবে প্রভাবিত হয়ে এ ধরনের জুলুম উত্যাচার আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চালাচ্ছেন। তারা গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ প্রতি রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে যায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশা করি তিনি নারায়ণগঞ্জের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।’ বলেন তৈমূর।
তৈমূর বলেন, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় আমাদের রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতে বন্দরে আমার পক্ষে নির্বাচনে নামা মৌসুমি নামে এক নারীর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে গেলে তারা বলেন জানেন না।
শুধু প্রচারণা নয়, রাতে আমার লোকজনকে তুলে নিয়ে যায়, এটা নির্বাচনের বাধা বলে আমি মনে করি।
পরে প্রচারণায় নেমে শামীম ওসমান ও আইভীকে উদ্দেশ করে তৈমূর বলেন, গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে, পত্রিকায় দেখেছি। আরে, ভাইবোন এক দলের লোক, তারা এক হতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে যে বিভাজন তা পরিষ্কার।